২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় ঠাকুরপাড়া ও ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অজুহাতে জামায়াতে ইসলামীর উগ্রপন্থীদের দ্বারা হিন্দুদের উপর করা হামলা।নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী গঙ্গাচড়ার টিটু রায় নামক এক হিন্দু যুবক ফেসবুকে ইসলামের নবীকে অবমাননা করে পোস্ট করেছে এই অভিযোগ করে ৬ নভেম্বর টিটু রায়ের বিরুদ্ধে মুদি দোকানি রাজু মিয়া গঙ্গাচড়া থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। কয়েকদিন ধরে হামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়। মাঝে মাঝে উগ্রপন্থীরা মিছিল সমাবেশ করে। ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় জুমার নামাজের সময় মাইকিং করে বলা হয় ইসলাম ধর্মের অবমাননা হয়েছে তাদের বদলা নিতে হবে। দুপুর ২টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের শলেয়াশাহ ও বালাবাড়ি গ্রাম এবং পাশের মমিনপুর গ্রামসহ বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জুমার নামাজের পর দলে দলে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।[১৫] সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮ থেকে ১০ হাজার লোকের সমাগম হয়। তারা সেখানে সমবেত হয়ে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় ওই সড়কের দু'পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। উগ্রপন্থীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে যা অব্যাহত রাখে । ঘর-বাড়ীতে আগুন দেওয়া হয়।ঠিক তার এক বছর পর ২০১ তে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোটে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়।
২০২১ সালে অর্থাৎ এই বছরই একটি কথিত পোস্টকে কেন্দ্র করে রংপুরে হিন্দুদের উপরে হামলার ঘটনার পর সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ এদিকে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নীচের মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷রংপুরের পীরগঞ্জ রামনাথপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে হামলাকারীদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে হিন্দুদের ২৫টি ঘরবাড়ি৷ মন্দির ভাংচুরসহ ঘরবাড়ি-দোকানপাট লুটপাট করা হয়েছে৷ এক রাতেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেকগুলো পরিবার৷ উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন করছেন৷ আবার ২০২২ সালেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন।
উক্ত দুটি ঘটনার ঘটনাস্থল একই এবং হামলার প্লটও একই।প্রশ্ন রয়েছে কেনোই বা বারবার সহিংসতার স্বীকার হচ্ছে মানুষ?