জোর করে টিউশন নিতে বাধ্য করতেন স্কুল শিক্ষকঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়

গত ২৩ই আগস্ট তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় নন্দন-রোকেয়া নামক একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন হলিক্রস স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পারপিত

 ত ২৩ই আগস্ট তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় নন্দন-রোকেয়া নামক একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন হলিক্রস স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পারপিতা ফাইহা। তার আত্মহত্যা নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ও!  স্কুলের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করানোর অপমানে সে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ করেন নানান মহল। এছাড়াও এলাকাবাসীর নিকট হতে পিতা-মাতার বিরুদ্ধেও সন্তানের উপর অমায়িক নির্যাতন ও বর্বর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে।


হলিক্রসের এই মেধাবী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যায় হলিক্রস স্কুলের কর্তৃপক্ষকে দুষছেন অনেকে। অনেকের মতে, হলিক্রসের চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী। এক অভিভাবক এই ব্যাপারে এই বলেন, হলিক্রসের শিক্ষার্থীদের উপর পড়াশোনার জন্য বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন শিক্ষকরা। এমনকি, কোনো বিষয়ে খারাপ করলে পুরো ক্লাসের সামনে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করে তাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হতো। এতে করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের খুব বেশি অসহায় মনে করতে শুরু করে। অপমান সহ্য না করতে পেরে ওই শিক্ষার্থী মৃত্যুর পথ বেছে নেন বলে দাবী তুলেন তিনি। এছাড়াও তিনি স্কুলের তথা কথিত জনপ্রিয়তাকে দায়ী করে বলেন, সবাই হয়তো জানে হলিক্রস অনেক স্বনামধন্য একটি স্কুল এবং এর ভিতরে কোনো গলদ নেই তবে আমরা অভিভাবকরা জানি এর প্রকৃত ইতিহাস। শুধু ছাত্রীদের নয়, মাঝে মাঝে অভিভাবকদেরও অপমান করতো শিক্ষার্থীরা।

একটি অনিশ্চিত সূত্রমতে, হলিক্রসের কর্তৃপক্ষের নিকট মামলা করার শর্তে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন পারপিতার পিতা-মাতা কেননা যদি মামলা করাই হতো তবে ফেঁসে যেতেন খোদ পিতা-মাতাও!

ফেসবুকের এক মেয়ের পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, হলিক্রসের শিক্ষকরা প্রায়ই মনিপুরী পাড়ার দিকে প্রাইভেট টিউশন করাতেন। এক ঝাঁক ছাত্রীদের নিয়ে এই টিউশন করাতেন বলে জানায় ওই মেয়ে। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়ানো আইনগতভাবে দন্ডনীয় অপরাধ হলেও তা অমান্যই করে আসছিলেন হলিক্রসের শিক্ষকরা। স্কুল মহলের মধ্যে হলিক্রসের শিক্ষকদের প্রভাব থাকার কারনে এমনটি হয়েছে বলে জানান তিনি। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত সূত্র মতে, গত সপ্তাহে পারপিতা ফাইহার আত্মহত্যাকে ঘিরে শিক্ষা মন্ত্রণলায় ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। শিক্ষকের কাছে টিউশন না নেওয়ায় অকৃতকার্য করানো হয়েছে বলে অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। তবে কঠিন প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার করে কৌশলে টিউশন নিতে বাধ্য করার প্রমাণ পেয়েছে।

তবেই এই প্রতিবেদনকেও অনেকটা বানোয়াট বলে দাবী করছেন এলাকার বিশিষ্ট কিছু নাগরিকরা। তাদের দাবী, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি হলিক্রস থেকে পাস করেছেন বলে তার স্কুলের জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন না করতে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন ওই তদন্ত কমিটি। স্বচ্ছ তদন্ত যদি করা হতো তবে পুরো স্কুলের উপরই দোষ হতো পাশাপাশি পিতা-মাতার বিরুদ্ধেও!

সমাপ্ত





[প্রিয় পাঠকগণ, আমাদের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভিন্ন সূত্র হতে সংকলিত। এখানে আমাদের ব্যাক্তিগত কোনো প্রভাব নেই। যদি আপনি আমাদের কোনো লেখা পাঠাতে চান তবে দয়া করে support@watchdogpost.xyz -এ ইমেইল করুন। ]


Post a Comment