যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা 'জ্যাকসন হাইটস'। কিছুক্ষণ আগে সেই এলাকাতেই ঘটলো চেনা পরিচিত সেই 'বাঙালীপনা'। 'নাগরিক টিভি' নামক কানাডার ইন্টারনেট ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের উপস্থাপক নাজমুস সাকিব ও টিটো রহমানের সাথে একুশে টেলিভিশনের সাবেক সাংবাদিক ও উপস্থাপক ইলিয়াস হোসাইনের মধ্যকার কোন্দলকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সম্প্রতি টিটো রহমান ও নাজমুস সাকিব নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের 'কাবাব কিং' রেস্তোরার দ্বিতীয় তলায় ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ঘটনার আঁচ পেয়েই সেখানে চলে যান ইলিয়াস হোসাইন। তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা এক লাইভ ভিডিও-তে তিনি তার গতিবিধি দেখিয়ে প্রকাশ্যে টিটো রহমান ও নাজমুস সাকিবকে আসতে বলেন। কিন্তু রেস্তোরার মালিকপক্ষ জানায় টিটো রহমান ও নাজমুস সাকিব আগের দিনই রেস্তোরার রিজার্ভেশন বাতিল করে দিয়েছে। ইউটিউবের লাইভ এই পর্যন্ত থাকলেও জ্যাকসন হাইটসে ঘটে যায় সংঘর্ষ।
ইলিয়াস হোসাইন তার ফেসবুক পেজে লিখে অভিযোগ জানান যে তিনি বসে থাকার সময় হঠাৎ-ই এক মহিলা এসে তার মাথার ক্যাপে হাত দেয় এবং এতেই ব্যাপক চটে যান তিনি। ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও-তে ইলিয়াস হোসাইন ও লিগ্যাল নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনালের সিইও জ্যাকব মিল্টনের মধ্যে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তি হতে দেখা যায়। একে অপরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিতেও শোনা যায়। চারদিকে ঘিরে ছিলেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ তাদের দুইজনকে বাধার দেওয়া চেষ্টা করছেন কেউবা ভিডিও করে লাইভে ছেড়ে দিচ্ছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে মুমিন মহসিন লিখেছেন,
বাঙালী আমেরিকা যাক আর মধ্যপ্রাচ্যেই যাক, পরিচয় কিন্তু একটাই থাকে বাঙালী, মাজে মাজে কিছু কার্যকলাপে বিদেশে বাঙালী একটা গালি মনে হয়,যেমনটা আমাদের দেশে নোয়াখাইল্লা বরিশাইল্লা কিংবা রংপুইরা বললে ভাবা হয়
পাঞ্জেরি নামক এক ফেসবুক আইডি থেকে একজন ইলিয়াস হোসাইনকে লক্ষ্য করে লিখেন,
অনেক গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব রয়েছে আপনার। এসব ঝামেলায় না জড়ানোই ভাল। কে বসুন্ধার ঘু*ষ চাইল না খাইল এসব নিয়া আর কোন কিছুতে জড়াইয়েন না। আপনার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে আছে কোটি মানুষ।