ফোন ধরছেন না নির্বাচন কমিশনের তথ্য-প্রতিনিধিরা! এনাইডি কার্ড নিয়ে রম-রমা ব্যবসা।

নির্বাচন কমিশন থেকেই জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর বন্ধ রাখা হয়েছে। কেননা নির্বাচন কমিশন থেকেই জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর বন্ধ রাখা হয়েছে

 


জাতীয় পরিচয়পত্রের অথবা ভোটার আইডি কার্ড সমস্যার কারনে গত কিছুদিন ধরে নির্বাচন কমিশনে ফোন দিচ্ছিলেন ঢাকার তেজগাঁও বসবাসরত রহমান মিয়া। তবে শত চেষ্টা করেও  নির্বাচন কমিশনের জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর ১০৫ -এ  ফোন দিতে পারেননি তিনি। কেননা নির্বাচন কমিশন থেকেই জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর বন্ধ রাখা হয়েছে। কেননা নির্বাচন কমিশন থেকেই জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর বন্ধ রাখা হয়েছে

এই চরম জনদুর্ভোগের কারন জানতে অনুসন্ধানে নামে দ্য ওয়াচডগ পোস্টের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা। অফিস টাইমে কয়েকবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি সাংবাদিকরা। তবে অফিস টাইম একই নম্বর পুনরায় সচল হলেও প্রতিনিধিদের কোনো দেখা মেলে না। এই সমস্যার কারনে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন দ্য ওয়াচডগ পোস্টের সাংবাদিকরা। 

ফেসবুকে 'NID HELPLINE' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে কাওসার হামিদ নামক এক ব্যাক্তি নিজেকে নির্বাচন কমিশনের লোক দাবী করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধানের ইঙ্গিত দেন তবে দিতে হবে উচ্চমূল্য! মাত্র ২ দিনে একটি এনাইডি কার্ড করে দিতে খরচ নিবেন সাত হাজার টাকা! এছাড়াও এনাইডি সংক্রান্ত বড় কোনো সমস্যার জন্য নিবেন দশ হাজার থেকে তেরো হাজার টাকার মতো চড়া মূল্য। 

তিনি আদৌ কি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা কিনা বা এমন কোনো নিয়ম আছে কিনা যেখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো লোক ফেসবুকে গ্রুপ খুলে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান দিবেন তাও এক নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য গ্রহণ করে, তা যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের একাধিক নম্বরে ফোন করেন সাংবাদিকরা তবে প্রত্যুত্তের কোনো হদিস নেই।  

নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তার এরুপ কাজ সরকারবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে চাকরিচ্যুত করা হবে। তবে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ  রয়েছেন।  

Post a Comment