এতিম শিশুদের খাবার নিয়ে যান প্রশাসনের লোকেরা।

তেজগাঁও ১ নং রেলগেটে অবস্থিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণলয়ের আওতাধীন "রহমতে আলম ইসলামি মিশন এতিমখানা" ঢাকার ঐতিহাসিক ও পুরোনো এতিমখানাগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিব
তেজগাঁও ১ নং রেলগেটে অবস্থিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণলয়ের আওতাধীন "রহমতে আলম ইসলামি মিশন এতিমখানা" ঢাকার ঐতিহাসিক ও পুরোনো এতিমখানাগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিবছর বহু সংখ্যক পিতৃ-মাতৃহীন শিশু ও কিশোররা সমাজের চোখে একটু ঠাই পাওয়ার আশায় এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকে। তাদের প্রতিপালনের দায়িত্ব নেন যাকাত বা অন্যান্য ধর্মীয় দানের টাকায় চলা 'রহমতে আলম ইসলামি মিশন ট্রাস্ট বোর্ড'।  


মদিনাতুল উলুম মডেল ইন্সটিটিউট বালক কামিল মাদ্রাসার 'হিফয' শাখার অধীনে বিনা খরচে এতিম শিশুদের "হাফিজী কুরআন" পড়ানো হয়।সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলেও  'দ্য ওয়াচডগ পোস্ট' এর  নিকট 
মাদ্রাসার প্রশাসনের বিরুদ্ধে এসেছে এক বড় অভিযোগ। 

 ইসলামি সংস্কৃতিতে মাতৃহারা শিশু ও বালকবালিকাকে বলা হয় ‘আজিয্যু’। এতিম অবস্থা সাধারণত বয়ঃপ্রাপ্তির পর শেষ হয়ে যায়। ইসলামে এতিমদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়ার নির্দেশ রয়েছে। শিশুদের প্রতি হ্রদয়বান হলে এবং তাদের যত্ন নিলে আল্লাহ খুশি হন। এই জন্য প্রতিবছর বহু সংখ্যাক মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় উক্ত এতিমখানায় বিপুল পরিমাণ যাকাত দান করেন। এতিম শিশুদের খাবারের জন্য গরু-ছাগল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য-সামগ্রী দান করতে দ্বিধা করেন না ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কিন্তু এতিমখানার সার্বক্ষণিক তত্তাবধানে নিয়োজিত কিছু অসাধু লোক সেইসব দ্রব্য-সামগ্রী ও খাবারের বিরাট বড় অংশ আত্মসাৎ করতে একটুও সঙ্কোচবোধ করেন না! এতিমদের খাবার ও দ্র্যবাদি এবং দান করা অর্থ আত্মসাৎ ইসলামে চরম ঘৃণিত ও সমাজে নিন্দিত কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। অথচ উক্ত এতিমখানার উপরি-মহলের লোকেরা সেই নিন্দিত কাজগুলো করে বেড়াচ্ছেন হরহামেশাই। 

ঘটনা তদন্তে 'দ্য ওয়াচডগ পোস্ট' এর প্রতিনিধি দল এতিমখানার 'নাম প্রকাশ্যে ভীত' কিছু শিশুদের সাথে আলাপকালে একজন শিশু বলেন,

কয়েকদিন পরপরই আমাদের জন্য বিভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা করেন কিছু মানুষজন।তারা গরু-ছাগলও দান করেন মসজিদে।কিন্তু জবাই করার পর ওইসব দানের বড় অংশ ভাগযোগ করে বড় কর্তারা নিজেদের বাসায় নিয়ে যান। আমাদের জন্য সর্বোচ্চ দুই দিনের খাবার জোটে।


একজন শেষ না করতেই আরেক শিশু কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন,

আমাদের যে দৈনন্দিন জীবনে খাবার পরিবেশন করা হয় তার গুণগত মানও খুব নিন্মের। আমার খেতে ইচ্ছে করে না।হুজুরের ভয়ে খাই।

[আঞ্চলিক কথপোকথনের অংশটুকু শুদ্ধভাষায় ভাষান্তর করা হলো]

তদন্তে আমাদের প্রতিনিধি দলের মতে, এতিম শিশুদের দেওয়া খাবার খুবই নিন্ম মানের। নিত্যদিনের দেওয়া ডাল আর পানির মধ্যে কোনো তফাৎ করা যায় না।প্রায় সময়ে আল্লাহ নৈকট্য অর্জনের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য দান করে থাকেন তবে তার সীমিত পরিমাণই ভাগ্যে জোটে শিশুদের। কর্তৃপক্ষের লোকজন এমনকি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও সেসব খাদ্যদ্রব্য ভাগযোগে নিজেদের বাসায় নিয়ে যান। এছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ তো আছেই। এসব কর্মকান্ড আদৌ ইসলামের শামিল কিনা ?

[আমাদের আসন্ন নতুন অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য এখনই নিম্রোক্ত লাইক, শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব বাটনে আলতো চাপ দিন]

 SUBSCRIBE

Post a Comment