রুমিন ফারহানা -এক অগ্নিকন্যা!

বাবার মৃত্যুর পর রুমিন ফারহানা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার রাজনীতিতে উদয় হওয়া নিয়ে এখনো অনেকেই কুণ্ঠিত। অনেকের মতে, সিনেমার হিরোইনের মতো উদয় হয়েছেন।

 

ছবিঃ সংগৃহীত

কথায় আছে "নারী মানে শক্তি, নারী মানে ক্ষমতা"। সেই উক্তিটিরই যেন বহিঃপ্রকাশ এই রুমিন ফারহানা! যদিও বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন কতটুকু সেটা নিয়ে বলতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সংসদের স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রী সবাই নারী। তারপরও দশম জাতীয় সংসদ অধীবেশনে নারীদের বজ্রকন্ঠ খুব কমই শোনা যাচ্ছিলো। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী ছাড়া সংসদে বাকীদের গঠনমূলক আলোচনা যেনো সোনার হরিণ হয়ে উঠেছিলো সেই সময়ে। সেই অভাব পূরণ করতে একাদশ জাতীয় সংসদে অনেকটা আচমকাই প্রবেশ ঘটলো এক অগ্নিকন্যার! সংসদে যতদিন ছিলেন, ঠিক ততদিনই নিজের জ্বালাময়ী  অগ্নীবক্তব্য দিয়ে পুরো দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। পূর্বে 'বিএনপি' শব্দটি শুনলে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চেহারা ভেসে উঠতো তবে ইদানীং তার ব্যাতিক্রম ঘটছে। নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার নাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হোন তিনি। পরবর্তীতে তাকে সংসদে দলীয় হুইপ হিসেবে মনোয়ন দেন বিএনপি। এই সিদ্ধান্তে বিএনপি যে কোনো ভুল করেননি তা টেরই পেয়েছেন রুমিন ফারহানার সংসদীয় কর্মকান্ডে। সংসদে যুক্তিনির্ভর আলোচনার জন্যই জনগণের কাছে অনেকটাই গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছেন তিনি। শুধু কি তাই? তার চেষ্টা-বুদ্ধিমত্তা-মেধা সব কিছু যেনো পিছনে ফেলেছে সংসদের পুরুষদের একাংশকেও।  পেশায় আইনজীবী এই তরুণ নেত্রী রাজনীতিতে এসে স্বল্প সময়েই নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছেন।  রুমিন ফারহানার বাবা ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক। জ্বী, ভাষা সৈনিক অলি আহাদের একমাত্র সুযোগ্য কন্যা রুমিন ফারহানা। বাবার মৃত্যুর পর রুমিন ফারহানা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার রাজনীতিতে উদয় হওয়া নিয়ে এখনো অনেকেই কুণ্ঠিত। অনেকের মতে, সিনেমার হিরোইনের মতো উদয় হয়েছেন তিনি। দৈনন্দিন জীবনে সরকারের নানা বিষয় সমালোচনা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লেখালেখি করার পাশাপাশি বিভিন্ন টকশোতে আলোচিত মুখ তিনি। এছাড়াও সম্প্রতি নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে ভিডিও বার্তায় সরকারের সমালোচনাসহ নিজের ভাবনাগুলোও প্রকাশ করে থাকেন। রুমিন ফারহানা মূলত তরুণ সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশে যে তরুণ নেতৃত্বের অভাব ছিলো এতোদিন, তা পূরণ হচ্ছে  ধীরে ধীরে। রাজনীতে নারী ও তরুণ নেতৃত্বের শক্তির জানান দিতে যেনো বরাবরই রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তরুণদের রাজনীতে আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রুমিন ফারহানা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। ধন্যবাদ রুমিন ফারহানা! 

Post a Comment